💔 “আমাদের অনেক আগেই ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার কথা ছিল”: ২৫ বছরের সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক কাজল!

বলিউডের গ্ল্যামার আর গসিপে ভরা দুনিয়ায় ২৫ বছর সংসার টিকে থাকাটা যেন এক অলীক স্বপ্ন! আর সেই স্বপ্নটাই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি কাজল ও অজয় দেবগন। কিন্তু জানেন কি? এই সম্পর্ক অনেক আগেই ভেঙে যেতে পারতো! হ্যাঁ, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই চমকপ্রদ মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী কাজল।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক তাদের দাম্পত্য জীবনের ওঠাপড়া, প্রেম, মনোমালিন্য আর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অজানা রহস্যগুলো।

🎬 প্রেম না অ্যারেঞ্জ? কীভাবে শুরু হলো কাজল-অজয়ের পথচলা?

১৯৯০-এর দশকে বলিউডে রাজত্ব করছিলেন কাজল। একের পর এক হিট ছবি আর শক্তিশালী অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের প্রিয় তারকা। ঠিক সেই সময়েই পরিচয় হয় চুপচাপ, লাজুক স্বভাবের অজয় দেবগনের সঙ্গে।

দুজনেই ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মানুষ। কাজল ছিলেন প্রাণবন্ত, খোলামেলা ও স্পষ্টভাষী। অন্যদিকে, অজয় ছিলেন সংযত, অন্তর্মুখী ও খুব বেশি কথা না বলার পক্ষপাতী।

তাদের প্রেমটা যে সহজ ছিল না, সেটা বোঝাই যায়। তবে একে অপরকে বুঝতে শেখার মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে তাদের সম্পর্ক।

💍 হঠাৎ বিয়ের সিদ্ধান্ত এবং পারিবারিক সংকট

১৯৯৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, হঠাৎ করেই বিয়ে করেন এই জুটি। কেউ প্রত্যাশাও করেনি তখন। বিশেষ করে কাজলের পরিবার এই সিদ্ধান্তে খুব একটা খুশি ছিল না। তার বাবা শমু মুখোপাধ্যায় তো চার দিন মেয়ের সঙ্গে কথা বলেননি!

অবশেষে পরিবারের উপস্থিতিতে ছোট্ট একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা।

👫 দাম্পত্যজীবনে কেমন ছিল সম্পর্কের রসায়ন?

বলিউডের অনেক দম্পতির মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রোম্যান্টিক’ ছবির ঝড় তুলেননি কাজল-অজয়। তারা বরাবরই নিজেদের সম্পর্ককে রেখেছেন পর্দার আড়ালে।

অজয় সবসময়ই ছিলেন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নীরব। অন্যদিকে, কাজল বরাবরই ছিলেন খোলামেলা। কিন্তু কোনোদিনই তারা দেখাননি যে তাদের মধ্যে প্রেম নেই।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন—

“আমরা দুজন একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা। সে দিক দিয়ে দেখলে, আমাদের অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।”

এই বক্তব্য শুনেই যেন বলিউড মহলে হুলুস্থুল পড়ে গেছে। তবে এখানেই শেষ নয়!

💡 তাহলে কীভাবে টিকলো এই সম্পর্ক?

এই প্রশ্নের জবাবে কাজল যা বললেন, তা যেন প্রতিটি দম্পতির জন্য এক মহামূল্যবান পরামর্শ।

তিনি বলেন—

“দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকতে চাইলে আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে হবে। ভুলে যাওয়ার রোগ থাকতে হবে আর কখনও কখনও কানে কম শুনতে হবে।”

অভিনেত্রী আরও বলেন—

“সুখী দাম্পত্যের আসল রহস্য হলো কিছু বিষয় ইচ্ছা করেই ভুলে যাওয়া এবং ছেড়ে দেওয়া। সবকিছু আঁকড়ে রাখলে সম্পর্ক টেকে না।”

এই কথাগুলো যেন শুধু একটা ইন্টারভিউ নয়, বরং ২৫ বছরের সম্পর্কের সারসংক্ষেপ!

👨‍👩‍👧‍👦 দুই সন্তান, একটি বাড়ি, অগণিত স্মৃতি

কাজল ও অজয়ের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান—নাইসা ও যুগ। কাজল সবসময়ই চেষ্টা করেছেন সন্তানদের সাধারণ জীবন দেওয়ার, আর অজয় সবসময় থেকেছেন ছায়ার মতো।

তাদের পরিবার কখনোই লাইমলাইটে আসতে চায়নি, কিন্তু এই সম্পর্কটাই বলিউডে এখন একটা রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

❤️ “টিকে থাকতে হলে ইগো নয়, দরকার বোঝাপড়া”

বিয়ের ২৫ বছর পার করেও কাজল মনে করেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সবচেয়ে বড় উপায় হলো “ইগো” থেকে বেরিয়ে আসা। তিনি বলেন—

“দাম্পত্যে জেতার কিছু নেই। এখানে দুজনকেই হারা শিখতে হয়। তখনই জেতে সম্পর্ক।”

🔍 SEO-Friendly Keywords:

কাজল ও অজয় দেবগনের বিয়ে, বলিউড সেলিব্রিটি সম্পর্ক, কাজল সাক্ষাৎকার ২০২৫, অজয় দেবগন পারসোনাল লাইফ, সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য, বলিউড দম্পতি বিচ্ছেদ, কাজল-অজয় রিলেশনশিপ, Kajol Ajay marriage, Bollywood couple secrets, Kajol interview, relationship tips

📢 উপসংহার

দাম্পত্য মানেই সবসময় ফুলেল পথ নয়। তাতে থাকে ঝড়, বৃষ্টি, কাঁটা—তবুও যদি ভালোবাসা আর বোঝাপড়ার আলো থাকে, তাহলে সেই পথটাও হয়ে ওঠে সুন্দর।

কাজল ও অজয়ের ২৫ বছরের দাম্পত্য সে কথাই প্রমাণ করে। আর তাদের এই গল্প আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক বড় শিক্ষা—প্রেমে নয়, সম্পর্ক টিকে থাকে মানিয়ে নেওয়া আর ভুলে যাওয়ার গুণে।

আপনার মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। এই প্রতিবেদন শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে, যারা আজও বিশ্বাস রাখেন দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসায়।

NG Videos news এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।